নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন সংলগ্ম ১১৮ নং পুরান গোগনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা এই শীতের মাঝে ঠান্ডা ফ্লোরে বসে ক্লাস করছে। বেঞ্চ না টেবিল না পেয়ে ফ্লোরে বসেই পড়তে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। তাও আবার প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসের পাকা ফ্লোরে বসে ক্লাস করছে । চতুর্থ ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের শ্রেণী কক্ষে জায়গা দেয়া যায়না। এক বেঞ্চে ৩ জন বসতে পারলেও গাদাগাদি করে ৫ জন বসতে হয়। তাও আবার অনেক কষ্ট করে বসে শিক্ষার্থীরা। বছরের শুরুতে ছাত্র ছাত্রীরা নতুন বই পেলেও পড়ার জন্য টেবিল বেঞ্চ পায়নি। একটি শ্রেণী কক্ষে ৪টি টেবিল আছে। তার মাঝে দুটি টেবিলে লোহার উপরে কাঠের অংশ নেই।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক কষ্ট করে এখানে পড়ে। তারা বসার জন্য পর্যাপ্ত বেঞ্চ টেবিল পায়না। সন্তানদেরতো পড়াতে হবে। তাই কষ্ট হলেও এই শিতের মাঝে তাদেরকে স্কুলে দিয়ে জাই। আমরা চাই এই ছোট ছোট শিশুরা লেখা পড়া করে বড় কিছু হউক।
স্থানীয় বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, আমার সন্তান ২য় শ্রেণীতে পড়ে। আমাদের তেমন অর্থ সম্পাদ নেই। গরিব বলেই সরকারি স্কুলে পড়াই। এই বিদ্যালয়ে এসে আমার সন্তানকে ঠান্ডা ফ্লোরে বসে ক্লাস করতে হয়। শ্রেণী কক্ষে টেবিলের সংকট। মাত্র ৪ টেবিল আাছে। যারা আগে আসে তারাই ওই খানে বসতে পারে। আর এই কয়টা টেবিল দিয়ে কি আর হয়। একটা একা ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ জনের মত। স্যারদেরকে বললে তারা বলে টেবিল আসবে। কিন্তুু কবে আসবে তারা তা জানেনা। দুই বছর যাবৎ কষ্ট করে আমাদের ছেলে মেয়রা ক্লাস করছে।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নুরুল আলম বলেন, ৬ মাস আগে সদর উপজেলা থেকে শিক্ষা অফিসার এসে আসবাব পত্রের তালিকা নিয়ে গেছেন। তারা বলছে তারাতারি টেবিল বেঞ্চ দিবে। কিন্তু কবে দিবে তা বলেনি। আমরাও বেঞ্চ আনার চেষ্টায় আছি। নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ফ্লোরে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল হক বলেন, নতুর ভবন হলে এটা সেন্ট্রাল থেকে দেয়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে অথবা তারা নিজেরা উপজেলায় আবেদন করলে ওই ক্ষেত্রে উপজেলা থেকে সহযোগিতা পাবেন। তাদেরকে উপজেলায় একটা আবেদন করার জন্য তিনি আহবান জানান।